টিপস ও ট্রিক্স

কিভাবে একটি ই-কমার্স সাইট দিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন?

0

অনেককেই দেখি অনলাইনে ই-কমার্স বা এফ-কমার্স ব্যাবসা করেন কিংবা ভবিষ্যতে করার ইচ্ছা পোষন করছেন। তাই কিছু বেসিক জিনিস নতুনদের জন্যঃ

ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের পার্থক্য কি?


eCommerce = Electronic Commerce 


fCommerce = Facebook Commerce


ই-কমার্স মানে হচ্ছে অনলাইনে পন্য বা সেবা বিক্রয় করা। এখানে আপনার দোকান হতে পারে একটি ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজ।
এফ-কমার্স ও একই রকম। এই ক্ষেত্রে শুধু ফেসবুক পেইজ থাকে।
ই-কমার্স ব্যাবসায়ীরা ফেসবুককে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করে। আর ক্লায়েন্টকে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে গিয়ে অর্ডার নেই। পাশাপাশি এফ-কমার্স ব্যাবসায়ীরা পেইজেই অর্ডার নেয়।


এই দুইটির সুবিধা ও অসুবিধা
ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট তৈরি করা একটি খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার। মোটামুটি ভালো মানের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট করতে গেলে ডিজাইন ডেভেলপ ডোমেইন হোস্টিং সহ খরচ হয় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা। 
৩-৫ হাজার টাকায়ও অনেকে বানিয়ে দেয়, তাদের সেবার মান নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করলাম না।
এফ-কমার্স এর ক্ষেত্রে যেহেতু ফেসবুকেই সব হচ্ছে ওয়েবসাইটের খরচ লাগছে না।
আবার, ওয়েবসাইট থাকলে পাবলিকের আস্থা বেশী পাওয়া যায়, যেটা শুধু মাত্র পেইজ খুলে পাওয়া যায় না। কারন ফ্রীতে একটি পেইজ যে কেউ খুলে নিতে পারে। কিন্তু ওয়েবসাইট যে করেছে সে নিশ্চয় ব্যাবসা করার জন্যই এসেছে।


ব্যাবসার জন্য খরচ কেমন হবে?
প্রথমেতো ওয়েবসাইটের খরচ, সেটা আগেই বলা হয়েছে। 
এবার কিছু ডিজাইনের খরচ। ভালো মানের একজন ডিজাইনার দিয়ে মানসম্মত লোগো, কভার পেইজ, এবং কিছু বিজ্ঞাপন ডিজাইন করিয়ে নেবেন।
আর চাইলে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দিয়ে আপনার পন্যের কিছু ভালো ছবি তুলে নিতে পারেন।
যদি ভালো মানের বাজেট থাকে, তাহলে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর দিয়ে কিছু প্রমোশনাল ভিডিও বানিয়ে নিতে পারেন। এগুলো হল আপনার কনটেন্ট যেটি দেখিয়ে মানুষকে আপনার পন্য বা সেবা নিতে আগ্রহী করে তুলবেন।
ফেসবুক বুস্ট- ফেসবুককে টাকা দিয়ে আপনার এড গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে পারেন খুব সহজেই। 
মিনিমাম ৫ ডলার থেকে শুরু করেই বুস্ট করা যায়। আপনি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বাজেট ৫০০০/১০০০০/২০০০০ বুস্টিং এর জন্য রাখলে প্রচুর গ্রাহককে রিচ করতে পারবেন। 


এবার জেনে নিন বুস্টিং বিষয়ে কিছু তথ্য। বুস্ট টাকা দিলে যে কেউ করে দিতে পারবে। কিন্তু মার্কেটিং এক্সপার্ট দিয়ে বুস্ট করালে সে টার্গেটিং ভালো সেট করে দেবে সামান্য কনসাল্টেন্সি ফি এর বিনিময়ে। সে রিসার্চ করবে আপনার পন্য, এরিয়া, বাজার দর, চাহিদা সব কিছু নিয়ে। তারপর সে ই ডিসাইড করবে আপনার এড কাকে দেখালে তা বেশী ইফেক্টিভ হবে। আপনার গ্রাহকদের বয়স কেমন? কোন মেন্টালিটি তারা বহন করে, সেই মেন্টালিটির মানুষ কোন রঙ পছন্দ করে, এডে কি লেখা থাকলে সে আকৃষ্ট হবে। সেই পেশার মানুষ কয়টা বাজে ফ্রী থাকে। কোন সময়ে এডটি তার সামনে আসলে পড়বে, এই সব কিছু ঠিক করে কনসালটেন্ট। 


কিভাবে শুরু করবো?
প্রথমে একটি নাম ঠিক করুন। পন্য সিলেক্ট করুন। পন্যগুলোর রিসোর্স ভালোভাবে জানুন। বাজেট করুন, প্রাথমিক ভাবে কোন কাজে কত টাকা খরচ করবেন। পরবর্তীতে প্রতিমাসে কতটাকা খরচ করবেন প্রচারনায়। উপরের স্টেপগুলোর কোন সেবাটি কার কাছ থেকে নেবেন, সবগুলো নিয়ে যাচাই বাছাই করে কয়েকজন এক্সপার্ট সিলেক্ট করুন, যাদের দিয়ে আপনি কাজ করাবেন। তার পর বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে দিন।


যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে
ধৈর্য হারানো যাবে না। পুরো এক মাসে একটা সেলও আসে নি। ব্যাস, অফ করে দিলাম। তাহলে আগে যা ইনভেস্ট করেছেন, পুরাটাই লস। এমনও হতে পারে আপনি সফলতার খুব কাছে গিয়ে ইউটার্ন নিচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে করনীয় এক্সপার্টদের সাথে আলাপ করা যে, আপনার কোথায় মিসিং ছিলো, কেন সেল পাচ্ছেন না বা কম পাচ্ছেন। সেগুলো ফিক্স করে আবার ট্রাই করতে হবে।

কেন আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার?

Previous article

ডিজিটাল মার্কেটারের কি কি জানা প্রয়োজন? (ব্যাসিক)

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *