ওয়েব ডিজাইনটিপস ও ট্রিক্স

যে কারনগুলোতে একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন ব্যর্থ হতে পারে।

0

আমরা সকলেই অনেক ইফোর্ট ব্যয় করে আমাদের ওয়েবসাইটগুলোর ডিজাইন করে কিংবা করিয়ে থাকি। কিন্তু খুব সাধারন কিছু বিষয় চোখ এড়িয়ে যাওয়ার কারনেই আমাদের ফেইলিউর এসে যেতে পারে। 

১। খুব বেশী জটিল এবং অসংগতিপূর্ণ ডিজাইনঃ
আমরা অনেক সময় ডিজাইনে ক্রিয়েটিভিটি খাটাতে গিয়ে ডিজাইনকে এতোটাই কমপ্লেক্স করে ফেলি যে ভিজিটর এসে কিছুই খুজে পায় না। বিরক্ত হয়ে চলে যায়। একটা সাইটের সবার উপরে লগো থাকবে তার নিচে মেন্যু থাকবে এটাইতো ন্যাচেরাল। স্ট্যান্ডার্ড মেনটেন না করে আমি অতিমাত্রায় ক্রিয়েটিভ হয়ে মেন্যু দিলাম নিচ থেকে কৌণিক করে। ভিজিটরের কাছে অসস্তি লাগবে ক্লিক করতেই। 
সাইটে এনিমেশন সাইটকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলে, ইন্টারএকটিভ করে এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেক সাইটে এতো অতিমাত্রায় এনিমেশন ব্যাবহার করা হয় যে, কোন দিক থেকে কি লাফিয়ে আসছে আর কই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে বোঝা বড় দায় হয়ে দাঁড়ায়। আমার উদ্যেশ্য এটি থাকতে হবে যে, ভিজিটর যেন সাইটে ঢোকার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সাইট সম্পর্কে একটি ওভারঅল ধারণা পেয়ে যায় এবং বুঝতে কোন সমস্যাই না হয় যে, তার কোন পেইজে যাওয়া উচিৎ কোন বাটনে প্রেস করা উচিৎ

২। ভিজিটরের জায়গা থেকে চিন্তা না করাঃ
মনে করুন আপনার সাইটেই আপনি একজন ভিজিটর। কেন আসবেন এই সাইটে? কি খুজবেন? আর কি পাবেন? 
নাকি এরকম চাইবেন যে? ওয়েবসাইটে ঢুকতে একবার বিজ্ঞাপন, উপরে বিজ্ঞাপন, নিচে, ডানে বামে সব জায়গায় বিজ্ঞাপন। রাগ করে বের হয়ে যেতে চাইলে তাও বিজ্ঞাপন। 
লেখা আছে, যোগাযোগ করুন, কিন্তু যোগাযোগের জন্য কোন কন্টাক্ট ফর্ম কিংবা কন্টাক্ট পেইজের লিংক করা বাটন নেই।

৩। ওয়েব গ্রাফিক্স এর দুর্বলতাঃ
যে ইমেজগুলো পোস্ট থাম্বনেইল, স্লাইডার, ব্যানার হিসেবে ইউজ করা হয়েছে সেগুলো একসাথে হাল্কা এবং কোয়ালিটিফুল হতে হবে। আকর্ষণীয় হতে হবে যেন চোখ পড়ে৷ বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অর্থবোধক হতে হবে।

৪। সাইট লোডিং স্পিড এবং অপটিমাইজেশন এর অভাবঃ
আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাইট তৈরি করি ঠিকই কিন্তু সেটি অপটিমাইজেশন করার কথা ভাবি না। ডেভেলপার না বলে দিলে অনেক ক্লায়েন্ট ভাবেওনা যে অপটিমাইজেশন এর গুরুত্ব কতটুকু। আবার চিপ রেইটে কাজ করলে, ডেভেলপার অপটিমাইজেশন করে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। সব মিলিয়ে আমরা ইনভেস্টমেন্ট করে দোকান নিলাম কিন্তু ডেকোরেশনের অভাবে ক্লায়েন্ট পেলাম না। 

৫। প্রচারনার মাধ্যম না জানাঃ
আমরা অফলাইন মার্কেটিং এর জন্য ব্যানার পোস্টার লিফলেট, টিভি পত্রিকা বিজ্ঞাপন অনেক কিছুই করি। কিন্তু ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেই ধরে নিই যে দায়িত্ব শেষ। অথবা শর্ট টার্ম কিছু প্রচারণা করেই ইতি টানি। মনে রাখতে হবে, প্রচারণা একটি কন্টিনিউয়াস প্রসেস। থেমে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। কাংখিত আউটপুট এর জন্য এটি চালিয়েই যেতে হবে। নেমে যাওয়ার পর যে দিকেই যাই, সামনেই এগুতে হবে। প্রতিনিয়ত জানতে হবে। মার্কেটিং কনসালটেন্ট এর হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেই চলে না। নিজে বুঝে নিতে হবে, কি হচ্ছে আর কি করা উচিত। 
ফেসবুক বুস্ট, গুগল এড, অন্যন্য ওয়েবসাইটের ব্যানার, ডিরেক্টরি লিস্টিং, সার্চ ইঞ্জিন সাবমিশন, কিওয়ার্ড রিসার্চ ইত্যাদি চালিয়ে যেতে হবে।

সর্বোপরি সফলতার জন্য কৌশলের কোন বিকল্প নেই। প্রতিনিয়ত শিখতে হবে। নিজে না পারলে এক্সপার্ট থেকে হেল্প নিতে হবে। আর বিজন্যাসে সঠিক ফিল্ডে ইনভেস্টমেন্ট করার মানসিকতা থাকতে হবে…

কিভাবে প্রফেশনাল সিভি লিখবেন?

Previous article

ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিৎ।

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *