টেক দুনিয়া

গুগলের সার্ভিস ও একই ধরনের অনেকগুলো বিকল্প কোম্পানী !

0
google search alternative

আমরা সবাই গুগলের সার্ভিস ব্যবহার করে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে অনেকেই জানিই না গুগলের সেবাগুলো ছাড়াও সারাবিশ্বে আরো অনেক কোম্পানী একই সেবা দিয়ে থাকে। আজ আমাদের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে গুগলের সেবাগুলোর মতো একই সেবা অন্য যেসকল কোম্পানী দিয়ে থাকে তাদের নিয়ে।

গুগল সার্চ ইঞ্জিন (Google Search):

আমরা সবাই জানি বর্তমানে গুগল সার্দ ইঞ্জিনই হচ্ছে সবচেয়ে বড়। তবে যদি প্রাইভেসি এর কথা আসে তবে গুগল মোটেও আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো বা বেস্ট না। এর কারন হচ্ছে গুগল সবসময়ই আপনার ডাটা সংরক্ষন করে তাদের অ্যাড সার্ভিসসহ আরো কিছু কারনে। আসুন দেখে নেই গুগল ছাড়াও যেসকল সার্চ ইঞ্জিন সেবা দিয়ে থাকেঃ

স্টার্টপেজ (Startpage): এটি গুগলের ইঞ্জিন ব্যভার করে তবে এরা আপনার ডাটা ট্র্যাক করবে না। এটি নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানী।

সিয়ার্ক্স (Searx): এটি একটি ওপেনসোর্স ভার্সেটাইল মেটাসার্চ ইঞ্জিন। এটিও বলে থাকে ডাটা ট্র্যাক করে না।

কোয়ান্ট (Qwant): এটি ফ্রান্সের একটি সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানী।

ডাকডাকগো (DuckDuckGo): এটি আমেরিকান একটি প্রাইভেট সার্চইঞ্জিন কোম্পানী।

ইয়াসি (YaCy): এটি ডিসেন্ট্রালাইজড পিয়ার টু পিয়ার সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানী।

মোজিক (Mojeek): এটি একটি পুরিপূর্ণ সার্চইঞ্জিন সাইট। যার নিজস্ব ক্রোল ও ইন্ডেক্সিং করার ক্ষমতা আছে। এটি ইউকে (UK) ভিত্তিক কোম্পানী।

জিমেইলের বিকল্পঃ

জিমেইলেরও অনেকগুলো বিকল্প আছে। যেমনঃ

টুটানোটা (Tutanota): এটি জার্মান ভিত্তিক একটি মেইল সেবাদাতা কোম্পানী। এটি ১জিবি পর্যন্ত ফ্রী মেইল স্পেস দিয়ে থাকে।

মেইলফেন্স (Mailfence): এটি বেলজিয়ামের একটি মেইল প্রোভাইডার।

প্রোটনমেইল (Protonmail): এটি সুইজারল্যান্ডের একটি ই-মেইল সেবাদাতা কোম্পানী।

ক্রোম ব্রাউজারের বিকল্পঃ

আমরা অবশ্য অনেকেই ক্রোমের বিকল্প কি তা জানি। যেমনঃ

ফায়ারফক্স (Firefox): ফায়ারফক্স একটি ওপেনসোর্স ব্রাউজার যেটা হাইলি কাস্টোমাইজ করা যায় এবং এর মাধ্যমে সহজে প্রাইভেসি সেট করা যায়।

ওয়াটারফক্স (Waterfox): এটি ফায়ারফক্সের মতোই তবে আরো বেশী প্রাইভেসি সেট করা সম্ভব।

টর ব্রাউজার (Tor Browser): এটি অনেক সিকিউর একটি ব্রাউজার এবং অনেকে এটিকে ব্লকড ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্যও ব্যভার করে থাকেন।

এছাড়া অ্যাপলের সাফারি (Safari), মাইক্রোসফটের এজ (EDGE) ও গুগল ক্রোম ব্রাউজারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

গুগল ড্রাইভঃ

গুগল ড্রাইভ মুলত স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ছবি বা ফাইল ক্লাউডে রাখার জন্য এই ড্রাইভ ব্যবহার করা হয়। গুগল ড্রাইভেরও অনেকগুলো বিকল্প আছে, যেমনঃ

ওনক্লাউড (ownCloud): এটি একটি ওপেনসোর্স ক্লাউড স্টোরেজ আর এটি একটি জার্মান কোম্পানী।

নেক্সটক্লাউড (NextCloud): এটিও ওপেনসোর্স স্টোরেজ ব্যবস্থা এবং এটিও জার্মান কোম্পানী।

গুগল ক্যালেন্ডারঃ

লাইটেনিং ক্যালেন্ডার (Lightening Calendar): এটি ওপেনসোর্স ক্যালেন্ডার আর এটি বানিয়েছে মজিলা।

ইটার (Etar): এটিও একটি ওপেনসোর্স ও ব্যসিক ক্যালেন্ডার।

গুগল ডক/শীটঃ

লিব্রেঅফিস (LibreOffice): এটি একটি ওপেনসোর্স অফিস সফটওয়্যার।

জোহো ডক (ZOHO Doc): এটি একটি ভালো বিকল্প ব্যবস্থা গুগল ডকের। এর ইন্টারফেস এবং ফাংশনালিটি অনেক উন্নত।

গুগল ফটো এর বিকল্পঃ

Piwigo: এটি একটি ফ্রী ও ওপেনসোর্স ফটো স্টোরেজ সাইট।

Lychee: এটিও সেলফ হোস্টেড একটি ওপেনসোর্স ফটো শেয়ারিং সাইট।

ইউটিউব (Youtube) এর বিকল্পঃ

ইউটিউবের অনেকগুলো বিকল্প আছে। যেমনঃ

  • Peertube
  • DTube
  • Bitchute
  • invidio.us
  • Vimeo
  • Dailymotion
  • Hooktube

গুগল ট্রান্সলেট এর বিকল্পঃ

গুগল ট্রান্সলেটের ও অনেক ভালো বিকল্প ব্যবস্থা আছে। যেমনঃ

  • বিং ট্রান্সলেট (Bing Translate)
  • ডিপএল (DeepL)
  • লিংগুই (Linguee)

গুগল ম্যাপের কিছু বিকল্পঃ

OSMAnd: এটি একটি ওপেনসোর্স ম্যাপ যা গুগল অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে কাজ করে।

Here We Go: এটি কম্পিউটার ও মোবাইল দুই ধরনের ডিভাইস থেকেই ম্যাপ দেখাতে পারে।

এছাড়া Maps.Me এবং MapHub ও গুগল ম্যাপের ভালো বিকল্প হতে পারে।

অ্যান্ড্রোয়েডের বিকল্পঃ

অ্যানড্রোয়েড বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। তবে এরও কিছু বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম আছে। যেমনঃ

উবুন্ট টাচ (Ubuntu Touch): এটি একটি ওপেনসোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা উবুন্ট দিয়ে বানানো হয়েছে বা বলা যায় এর মোবাইল ভার্সন।

প্লাজমা মোবাইল (Plasma Mobile): এটি ওপেনসোর্স লিনাক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেম।

এছাড়া অ্যান্ড্রোয়েডের সবচেয়ে বড় বিকল্প হচ্ছে অ্যাপলের আইওএস (iOS)

গুগল হ্যাংআউটঃ

গুগল হ্যাংআউটের মতো কয়েকটি সার্ভিস হচ্ছে টেলিগ্রাম (Telegram), ওয়্যার (Wire), সিগন্যাল (Signal).

এছাড়া গুগলের আরো কিছু সার্ভিস রয়েছে এবং সেই সার্ভিসগুলোরও অনেক ভালো ভালো বিকল্প কোম্পানীর সার্ভিস রয়েছে। তবে এটা সত্য যে আমাদের ডেইলি লাইফে গুগলের সার্ভিসগুলোই বেশী নিরাপদ ও ব্যবহার করা সহজ মনে হয়। তার মানে এই না যে বিকল্প কোম্পানীগুলো খারাপ। আপনি চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আর আমাদের জানাতেও পারেন আপনার এক্সপ্রেরিয়েন্স নিচের কমেন্ট সেকশনে।

গ্রেট ফায়ারওয়াল অব চায়নাঃ চীনের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা !

Previous article

আন্ডার-স্ক্রিন সেলফি ক্যামেরা কিভাবে কাজ করবে !

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published.