বর্তমানে ফেসবুক আর জিমেইলে অ্যাকাউন্ট থাকাটা খুবই কমন একটা বিষয়। বরং না থাকলে অনেকে বলে বসে ” আপনি কি অ্যালিয়েন নাকি ! ” । যাই হোক টেকনোলজির উন্নতির সাথে সাথে এর কিছু অসুবিধাও আছে। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো হ্যাকিং।
প্রতিনিয়ত টেক কোম্পানীগুলো তাদের সিকিউরিটি আপডেট করছে। আবার হ্যাকাররাও সেটা ভেঙ্গে ফেলছে। তবে আমরা আজ সেই বিষয় নিয়ে লিখবো না। বর্তমানে ফেসবুক বা জিমেইল যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে তেমনি এর অ্যাকাউন্টও হ্যাক করার পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। তবে সেটা আমাদের (ব্যবহারকারীর) ভুলের কারনেই বেশি হয়ে থাকে।
কিভাবে ফেসবুক বা জিমেইল অ্যাকাউন্ট সিকিউর করবেন?
ফেসবুক বা জিমেইলের সিকিউরিটি বর্তমানে খুবি ভালো। অ্যাকাউন্ট হ্যাক গুলো হয়ে থাকে আমাদের ভুলের কারনে। তাই কয়েকটি কারন নিয়ে আমাদের আজকের লিখাঃ
- প্রথমেই বলতে গেলে বলতে হবে পাসওয়ার্ডের কথা। আমরা সবসময়ই সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি। আর ভাবি কে আবার আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করবে। কিন্তু মনে রাখবেন হ্যাকার কিন্ত এই সহজ পাসওয়ার্ডগুলো দিয়ে হ্যাক করে বেশি। আর কমন পাসওয়ার্ডগুলোর স্ক্রিপ্ট থেকে অটোবট করেও হ্যাক করার চেষ্টা করে। তাই সবসময় চেষ্টা করবেন কয়েকটি কী ও আপার-লোয়ারকেস করে পাসওয়ার্ড বানানোর। যেমনঃ NimoBD**##22 ।
- ফেসবুকে অযথা ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। সবচেয়ে বেশি হ্যাক হয় এই লিঙ্ক ক্লিক করা থেকে। তাই অযথা মেসেজ অথবা লিঙ্ক এ ক্লিক না করাই ভালো। দরকার হলে লিঙ্কটি কপি করে অন্য ব্রাউজার দিয়ে ঢুকুন।
- অযথা ফেসবুকের অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভালো। এই অ্যাপ গুলোতে আপনাকে অনেকগুলো পারমিশন দিতে হয়। তাই এই অ্যাপগুলো না ব্যভার করাই উত্তম।
- পরিচিত কেও ফেসবুক মেসেজ এ লিঙ্ক শেয়ার করলে, আগে নিশ্চিত হয়ে নিন সে দিয়েছে কিনা। অনেক সময় তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলেও হ্যাকার তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা ফ্রেন্ডদের লিঙ্ক দিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে।
- ফেসবুকে এবং জিমেইলে ২এফএ বা ২ফ্যাক্টর চালু রাখতে পারেন। এতে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার পর মোবাইলে একটি মেসেজে কোড আসবে এবং এরপর ওই কোড সাবমিট করার পর আপনি লগইন করতে পারবেন।
- ফেসবুকে যেই ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়েছেন সেটির পাসওয়ার্ড আর ইমেইল পাসওয়ার্ড একই রাখবেন না।
- ফেসবুকে প্রাইমারি ইমেইলের সাথে সেকেন্ডারি ইমেইল যুক্ত করুন। এতে আপনি সেকেন্ডারি ইমেইল দিয়ে রিকভার করতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্ট।
- অপরিচিত ফ্রেন্ডকে ফ্রেন্ডলিস্টে অ্যাড করা কমিয়ে দিন। কারন অনেক হ্যাকার ফেসবুকের রিকভারি অপশন দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চাইলে আগে অনেকগুলা অ্যাকাউন্ট আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে যুক্ত করে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে।
- জিমেইলে অপরিচিত মেইল ওপেন করা বা মেইলের দেওয়া লিঙ্ক এ ক্লিক না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেই মেইল্গুলো আপনার দরকার নেই ক্লিক না করে বরং ডিলিট করে দিন।
সবশেষে একটা কথাই বলবো, টেক কোম্পানীগুলো তাদের সিকুরিটির ব্যাপারে যথেষ্ঠ সচেতন। আমাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয় আমাদের ভুলের কারনে। আর এইগুলোই শেষ নয়। পরবর্তী আর্টিকেলে আমরা আরো বিষয় শেয়ার করবো সিকুরিটি নিয়ে। ততোদিন আপনার অ্যাকাউন্ট সিকিউর রাখুন।
বেশ ভাল একটা আর্টিকেল।