যেখানে করোনাভাইরাস রুখতে বিশ্বের সকল বিজ্ঞানীরা হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে আশার আলো দেখাচ্ছে সুপার কম্পিউটার। COVID-19 বা করোনা ভাইরাস যার বিস্তার রয়েছে বর্তমানে বিশ্বের ১৭১ টি দেশে। এই মরণব্যাধি ভাইরাস কে রুখতে হিমশিম খাচ্ছেন বিশ্বের বিজ্ঞানীরা তাদের মতে COVID-19 ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। তবে জানা যাচ্ছে, কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকরী রাসায়নিকের হদিস দিচ্ছে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সুপার কম্পিউটার।
এই সুপারকম্পিউটারটি মার্কিন জ্বালানি বিভাগ থেকে স্থাপন করা হয় ২০১৪ সালে। বিভিন্ন রকমের জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে এই কম্পিউটারের সিমুলেশন ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়। এই সামিটে রয়েছে ২০০ পেটাফ্লপস যা প্রতি সেকেন্ডে ২০০ কোয়াড্রিলিয়ন হিসাব সম্পূর্ন করতে সক্ষম। বর্তমানে সামিট রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসি অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত অক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ আই) সম্পন্ন সুপার কম্পিউটার মানবদেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে এমন ৭৭ টি যৌগ চিহ্নিত করেছে। কার্যকারিতার দিক থেকে এই যৌগগুলোকে ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে ফেলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সুপার কম্পিউটার। এই সুপার কম্পিউটার করোনাভাইরাস সহ একাধিক প্রাণঘাতী ভাইরাস মুক্ত করতে নতুন নতুন রাসায়নিকের দিশা দেখাতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। এই সুপার কম্পিউটার বর্তমান বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী কম্পিউটারের থেকেও ১০ লক্ষ গুণ বেশি শক্তিশালী।
“করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা পেয়ে গেছি এখনই বলা সম্ভব নয়”
জেরেমি স্মিথ
বলে মন্তব্য করেন ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষক জেরেমি স্মিথ। তবে এই ৭৭ টি যৌগ করোনা ভাইরাস এর ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই গবেষক।সেইসাথে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া দক্ষিন কোরিয়াও এ.আই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে করোনা মোকাবেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নি-লে- অ্যা.পারভিন
Comments